নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের ম্যারাথন নির্বাচনী উৎসবে সোমবার পঞ্চম ধাপে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এ দফায় সাতটি রাজ্যে লোকসভার ৫১টি আসনে ভোট হচ্ছে। এতে প্রার্থী ৬৫৬ জন।
এর আগে চারটি ধাপে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সোমবার পঞ্চম ধাপের ভোটে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তার মা সোনিয়া গান্ধী, বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং ও স্মৃতি ইরানি। তারা সবাই উত্তরপ্রদেশ থেকে ভোটে লড়ছেন। এ ধাপে বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও জম্মু-কাশ্মীরেও ভোট হচ্ছে।
ভারতের সাধারণ নির্বাচনে এবার সাত ধাপে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। গত ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ৫৪৩ আসনের এই নির্বাচনে আগামী ১২ ও ১৯ মে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপের ভোট হবে। ফল ঘোষণা করা হবে ২৩ মে।
৯০ কোটি ভোটারের দেশটিতে গত চার ধাপে গড়ে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এবারের নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর মোদির সহজ জয়ের যে ধারণা বিশ্লেষকদের ছিল, তা দৃশ্যত পাল্টাতে শুরু করেছে। এবার কংগ্রেসসহ বিজেপিবিরোধী দলগুলো নির্বাচনে ভালো করবে বলে জনমত জরিপে ইঙ্গিত মিলছে। কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, শেষ পর্যন্ত মোদির পুনরায় সরকার গঠন কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রোববার এনডিটিভির এক নিবন্ধে বলা হয়, এবারের নির্বাচনে অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে চাপে রয়েছেন মোদি। তাই এবার ভোটের প্রচারে মোদি একদিনের জন্যও তার প্রিয় ‘আচ্ছে দিন’ বা সুদিন আসবেই স্লোগান দেননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোদির প্রধান স্লোগান ছিল এটি। অন্যদিকে, মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য হিন্দুত্ববাদকে মূল অস্ত্র করায় চাপে রয়েছে দেশটির প্রাচীনতম দল কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেস এবার আর ধর্মনিরপেক্ষতার কথা মুখেও আনছে না।
পাঁচ বছর আগের নির্বাচনে মোদি উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ কারণে তরুণ ভোটাররা তখন বিজেপিকে বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়েছিল। তবে সরকারি হিসাবেই বলা হয়েছে, ভারতে এখন বেকারত্বের হার চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কর্মসংস্থানই এখন ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বিজেপি এবার তরুণদের ভোট আগের মতোই পাবে কি-না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারতে এবার নতুন ভোটার ১৩ কোটি।